ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : কয়েক হাজার মানুষকে বাধ্য হয়ে ওই সাতক্ষীরা সড়ক থেকে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার একমাত্র সড়কটির দৈর্ঘ্য মাত্র ১৩০ গজ। দীর্ঘদিন ধরে কংক্রিটের তৈরি ওই সংযোগ সড়কটির অনেক জায়গা ভেঙে-চুরে চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু -মেরামতের কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় হাসপাতালে আসা-যাওয়া রোগিদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পরপরই সমগ্র ডুমুরিয়াবাসীর চিকিৎসা সেবার জন্য উপজেলা পরিষদ ভবন থেকে ১ কিলোমিটর দক্ষিণ-পশ্চিমে গোলনা গ্রামের ৩ একরের অধিক জমিতে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন গড়ে তোলা হয়। আর খুলনা-সাতক্ষীরা সড়ক থেকে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌছাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের ১৩০ গজ (সড়কটি) ইট দিয়ে সলিং করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির আধুনিকায়নের সময় ওই সংযোগ সড়কটি কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর দীর্ঘ সময় ধরে অনেক ভারি-ভারি যানবাহন চলাচলের ফলে ওই সড়কের অসংখ্য স্থান ভেঙে- চুরে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। আর প্রতিদিন রোগ-শোক-এক্সিডেন্টে কাতররা সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় সিমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ডুমুরিয়া হাসপাতাল এলাকার ইউপি মেম্বর আবু বক্কার খান বলেন, সমগ্র ডুমুরিয়া উপজেলার চার লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা পাওয়ার একমাত্র স্থান এই ডুমুরিয়া হাসপাতাল। আর সেখানে যাতায়াতের একমাত্র সংযোগ সড়কটিই আজ চরম অসুস্থ।
ওষুধ ব্যবসায়ী শেখ মফিজুর রহমান বলেন, হাসপাতালের এতো উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু সকলের চোখের সামনেই এই রাস্তাটার এতো খারাপ অবস্থা কী কেউ দেখার নেই ? উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সুফিয়ান রোস্তম বলেন, সম্প্রতি হাসপাতালটির অনুনিকায়ণ হয়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসকও আছে। কিন্তু ওই ভাঙ্গ সংযোগ সড়কটির কারণে নারী বৃদ্ধ ও এক্সিডেন্টের রোগীদের চরম কষ্টে পড়তে হচ্ছে। তাছাড়া আসন্ন বর্ষার আগে যদি সড়কটি মেরামত না করা হলে মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে। তবে ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ২০২২-‘২৩ অর্থ বছরে ওই সংযোগ সড়কটি মেরামতের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ বলেন, কোনো বক্তব্য নয়, যত দ্রুত সম্ভব ওই রাস্তাটি করে দেবো।
বাংলার গেজেট/এম এইচ
খবর খুলনা